তিনি বলেন, শিশুদের জন্য নিরাপদ বাংলাদেশের পরিকল্পনা করে দিয়েছে বর্তমান সরকার। সোমবার শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বক্তব্যের শুরুতেই শেখ রাসেলের শৈশবের স্মৃতিচারণ করেন বড়বোন শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি বলেন, আত্মবিশ্বাসের সাথে বেড়ে উঠুক প্রতিটি শিশু। কেউ যেন অকালে ঝরে না পড়ে, সে লক্ষ্যেই কাজ করছে সরকার।’
‘৭৫-এর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেদিন রাসেল মায়ের কাছে যাব বলে কান্না করছিল। তাকেও হত্যা করা হলো। আমার একটাই প্রশ্ন এই শিশুটির কী অপরাধ ছিল? ‘৭১ ও ‘৭৫-এ শিশুদেরও হত্যা করেছে ঘাতকেরা। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে ২০০১ সালের নির্বাচনে। আবার ২০১৩ সালে বাসে আগুন দিয়ে শিশুসহ মানুষ পুড়িয়ে হত্যার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। আমরা এটা চাই না, শিশুরা অকালে ঝরে যাক। শিশুরা গড়ে উঠুক সুন্দর পরিবেশে। বাংলাদেশকে আমরা সেভাবে গড়ে তুলতে চাই।’
সরকার প্রধান শিশুদের প্রযুক্তি শিক্ষার ওপরও জোর দেন। পরে রাসেলকে নিয়ে লেখা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি।
উল্লেখ্য, প্রথমবারের মতো এবার সারা দেশে শেখ রাসেলের জন্মাদিন পালন করা হচ্ছে জাতীয় শেখ রাসেল দিবস হিসেবে। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দনও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।